কক্সবাজারে এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় মোহাম্মদ সাইমুন প্রকাশ বখতিয়ার ছিদ্দিক প্রকাশ মোহাম্মদ সাইমুন সাহিম (২২) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে আসামীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকালে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামী কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরের উত্তর নাপিতখালীর ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
রায়ের সময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। একই মামলায় আসামীর মা ও ভাইসহ ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
আসামীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও এডভোকেট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি এডভোকেট বদিউল আলম সিকদার।
বিশেষ পিপি বদিউল আলম সিকদার জানান, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর ইসলামপুরের মধ্যম নাপিতখালী এলাকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ঢাকার কামরাঙ্গি চরের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে দণ্ডিত আসামী মোহাম্মদ সাইমুন প্রকাশ বখতিয়ার ছিদ্দিক প্রকাশ মোহাম্মদ সাইমুন সাহিম।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আবুল মোজাফ্ফর নজিব বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৯(১) ধারা মতে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।