কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ২ আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ at ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২ আসামীর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্জয় বিশ্বাস দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ২ আসামী হলো মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামী মাতারবাড়ি এলাকার ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামী ট্রলার মাঝি করিম সিকদার। গতকাল মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এজাহারের উল্লেখ করা মামলার অপর ২ আসামী হলো মাতারবাড়ির আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দুজয় বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১০ খুন মামলায় গ্রেফতার দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞার আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তিনি জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আজ বুধবার থেকেই আসামীদেরকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত অপর ২ আসামীসহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারেও পুলিশের ৫টি দল মাঠে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি ট্রলার থেকে গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমান গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

তবে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত করেন তাদের স্বজনরা। শনাক্ত ছয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় তাদের স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ বাকী চারটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

তবে প্রাথমিকভাবে এ ৪ জনকে শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪) বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।

এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ৬৪ জনকে আসামী করে কক্সবাজার সদর খানায় একটি মামলা করেন নিহত ট্রলার মালিক সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এই মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডাম্পারের ধাক্কায় পুকুরে ছিটকে পড়ল যাত্রীভর্তি অটোরিকসা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম হজ ফ্লাইট ২১ মে