বৃষ্টির মাঝেও কক্সবাজারে হাজার হাজার পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৭ জুন, ২০২২ at ১০:২৩ অপরাহ্ণ

সৈকতে পরিকল্পনা মাফিক বেড়ানোর সময়টা বৃষ্টির বাগড়ায় মাঝেমধ্যে এলোমেলো হয়ে গেলেও চমৎকার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এখনও হাজার হাজার পর্যটককে কাছে টানছে দেশের প্রধান অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজারে।

একদিকে সাগরের উষ্ণ নোনা জল ও অন্যদিকে বৃষ্টির শীতল-স্বাদু জলে শরীর ভিজিয়ে স্নানের এক রকম আনন্দ পাচ্ছেন পর্যটকরা। তাইতো আজ শুক্রবার(১৭ জুন) ছুটির দিনে বৃষ্টির মাঝেও কক্সবাজারে অবকাশ যাপনে এসেছেন অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক।

সৈকতের বিচ কর্মীরা জানান, আজ শুক্রবার দিনভর বৃষ্টির মাঝেও উচ্ছ্বাসের কমতি দেখা যায়নি পর্যটকদের মাঝে। সকাল থেকেই হাজার হাজার পর্যটক বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই সৈকতে বেড়িয়েছেন। কেউবা সাগরের ঢেউয়ের সাথে জলকেলিতে মেতেছেন। অনেকেই বৃষ্টি থামলে সৈকতে নেমেছেন, আবার বৃষ্টির তাড়ায় সাগর তীরের দোকানপাটে আশ্রয় নিয়েছেন। এমনই লুকোচুরির মাঝে সাগরপাড় ছিল পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত।

কক্সবাজারের হোটেল মালিকদের মতে, প্রতি বছর দুই ঈদ ছাড়াও থার্টিফার্স্ট’র ছুটিতে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। এসময় হোটেল-মোটেলে শতভাগ রুম বুকিং থাকে। বর্তমানে কক্সবাজার শহরেই রয়েছে ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস যেখানে প্রায় দেড় লাখ পর্যটক রাত যাপন করতে পারে।

এছাড়া শহরের বাইরে ও সমুদ্র তীরবর্তী উপ-শহরগুলোসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে রয়েছে ছোট-বড় আরো প্রায় ৩শ’ আবাসিক হোটেল ও কটেজ যেগুলোতেও প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের সুবিধা রয়েছে।

তবে শুক্রবার শহরের তারকা হোটেলগুলোর প্রায় অর্ধেক এবং অন্যান্য হোটেলগুলোর প্রায় এক তৃতীয়াংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে জানান ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার।

তিনি জানান, এখন সকল ধরনের হোটেলে কক্ষভাড়ার ওপর ৫০% থেকে ৬০% ভাগ রেয়াত দেয়া হয়েছে। ফলে একদিনের খরচে এখানে দুই দিন বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। আর এই সুযোগ আসছে ঈদুল আযহার আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াক বাংলাদেশ)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, বৃষ্টি ও মেঘলা থাকায় কক্সবাজারের আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ। সাগরের ঢেউগুলোও অনেক বড় বড়। তাই প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারে বেড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়।

শুক্রবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ইশতিয়াক আহমদ ও রুমানা আহমদ বলেন, বৃষ্টির মাঝে আমরা এক অসাধারণ কক্সবাজারকে উপভোগ করেছি কিন্তু ছুটি নিয়ে না আসায় রবিবার সকালের ফ্লাইটেই ফিরে যেতে হবে। তাই আশা রাখছি, এই বৃষ্টির মাঝে আবারো আমরা কক্সবাজারে আসব।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, শীত-গ্রীস্ম-বর্ষা সবসময় কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতে চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তাই কক্সবাজারে বেড়াতে আসার জন্য বছরের যেকোনো সময় বেছে নেয়া যায়। তবে বর্ষায় বেড়ানোর মজাই আলাদা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে রাঙ্গুনিয়ায় গ্রেফতার ১
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত