কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক মোহনায় ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ অস্ত্র ও গুলিসহ সাত জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটারিয়ন (র্যাব)। শনিবার রাতে কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর একটি দল এ অভিযান চালায়।
আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারস্থ র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেফতাররা হলো মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার মৃত বাহাদুর মিয়ার ছেলে মো. মজ্ঞুর আলম ওরফে মজ্ঞু (৩৮), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছনুয়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন বাহার ওরফে মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল এলাকার মৃত সামছুল আলমের ছেলে মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার মৃত ছৈয়দুল করিমের ছেলে মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়ার বদিউল আলমের ছেলে মো. দিদার (৩০), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার মাদর্শা ইউনিয়নের উত্তর মাদর্শা এলাকার মৃত মো. ইছহাকের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার শহরের উত্তর কুতুবদিয়াপাড়ার ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব অধিনায়ক জানান, আটক মো. মজ্ঞুর আলম ওরফে মঞ্জু একজন চিহ্নিত জলদস্যু। তার নিজের নামে একটি বাহিনীও রয়েছে। তার নামে কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৯টির বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়া আটক অন্যদের বিরুদ্ধেও সাগরে জলদস্যুতাসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে জলদস্যুমুক্ত করতে র্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে সশস্ত্র একদল লোক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
পরে আটকদের হেফাজত ও ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৩টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৭টি গুলি, ২টি লম্বা কিরিচ, ২টি চাকু, ২টি টর্চ লাইট ও ৭টি বাটন মোবাইল ফোন।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
