ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি। এতে জেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বাড়িঘর ছাড়াও হামুনের তাণ্ডবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। এছাড়াও ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে, প্রায় ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভা, মহেশখালী,কুতুবদিয়া, চকরিয়া,কক্সবাজার সদর উপজেলা বিদ্যৎবিহীন অবস্থায় আছে। ফলে এসব এলাকায় মোবাইল ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দান অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রুত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা। এ দু’টি সেবা খাত বন্ধ থাকাতে অফিসিয়াল কার্যক্রম এবং মানুষের দৈনন্দিন কাজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”