কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই এবার শহরের জেলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন মোহাজের পাড়ায় একজন ফল ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হলো।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মোহাম্মদ ওসমান (৩৪) নামের ওই ফল ব্যবসায়ীর মরদেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, গতকাল বুধবার রাতের যেকোনো তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছৈয়দ নূর ও হাবিবুল্লাহ ওরফে সুন্দর নামের দুই যুবককে আটক করছে পুলিশ।
নিহত মোহাম্মদ ওসমান ওই এলাকার মৃত নূর আহাম্মদের ছেলে। ওসমান জেলা সদর হাসপাতাল সড়কে ফল বিক্রি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওসমান এক সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিতে জড়িত ছিল। এক বছর আগে তার মায়ের মৃত্যুর পর অপরাধ কর্মকাÐ ছেড়ে ব্যবসায় নামেন ওসমান।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, নিহত ওসমানের বিরুদ্ধে দুইটি ডাকাতি ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। তার বাড়ি থেকে মদসহ মদ্যপানের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
হয়তো মদ্যপানের পর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার।
নিহতের ভাগিনা মোহাম্মদ শামীম জানান, বুধবার রাতে তার মামা দোকান বন্ধ করে কর্মচারী ছৈয়দ নুর ও বন্ধু হাবিবুল্লাহসহ আরও ৪-৫ জনকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর তারা গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির ছাদে আড্ডা দেন কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে শামীম ঘুম থেকে উঠে তার মামার কক্ষের লাইট জ্বলতে দেখে সেই লাইট নেভাতে গেলে বিছানার ওপর ওসমানের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে এক হাজার টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে নবাব মিয়া (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।