আড়াই লাখ ইয়াবাসহ উখিয়ার বালুখালী থেকে গ্রেফতার হয়েছিল তারা
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় চার আসামীকে ১০ বছর করে এবং একজন আসামীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত আসামীরা ২০১৭ সালে দুই লাখ ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ উখিয়ার বালুখালী থেকে গ্রেফতার হন।
এ মামলায় ৪ জন আসামীর প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড ও অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের করে কারাদণ্ড এবং অপর আসামীকে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড ও অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দণ্ডিত আসামীরা হলো যশোরের শার্শা উপজেলার মশিউর রহমান ও রেবেকা খাতুনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২০), একই এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ (৪৫), যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বরকত উল্লাহ সরদারের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন, টেকনাফের রঙ্গীখালীর নুর আহমদ প্রকাশ আঁই মেম্বারের ছেলে মো. হেলাল (৩৯) ও যশোরের শার্শা উপজেলার আবদুর রশিদ ও জয়গুনের ছেলে মো. মিন্টু আলী (২৭)।
তাদের মধ্যে মিন্টুকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামী মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আবদুল হামিদ ও মো. মিন্টু আলী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. হেলাল পলাতক আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “ট্রাক ড্রাইভার মিন্টু আলী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করায় তাকে অপেক্ষাকৃত লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে একটি ট্রাকে তল্লাশি করে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ জন মাদক কারবারিকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এসআই রাজেশ বড়ুয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানি শেষে আজ রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।