তিন মাসের বেশি সময় পর প্রথম মৃত্যুহীন দিন দেখল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে মৃত্যুহীন একটি দিন পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই মাসেই বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। শনাক্ত রোগীর সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে সংক্রমণ ও মৃত্যু।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল ১০ দিন পর ১৮ মার্চ। মহামারী শুরুর ওই পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু ০, ১, ৩ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। ১৫ দিন পর ৩ এপ্রিল কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। তারপর মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। মৃত্যুহীন আরেকটি দিন আসে ২০ মাস পর, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর বাংলদেশ কেবল তিনটি দিন দেখেছে যখন করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশে যা ওমিক্রনের প্রভাবে রেকর্ড ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছিল গত জানুয়ারির শেষে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৬০০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১৮০ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা যা মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৯৯ লাখের বেশি।