সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ জুন, ২০২২ at ২:৪২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে এক পুলিশ কন্সটেবলের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যূর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া নয় পুলিশ সদস্যসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিন শতাধিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও আশপাশের সব চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আসার অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিভিল সার্জন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।

শনিবার (৪ জুন) শনিবার রাত ৮টার দিকে আগুন লাগে, তবে রাত ১১টার দিকে রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি–ঘরের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কন্সটেবল তুহিনের পা বিচ্ছিন্নসহ আরও অন্তত পাঁচ কন্সটেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। ভাটিয়ারির বাংলাদেশ শিপব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন হাসপাতালে আহত অন্তত ২০ জনকে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে আহত হন।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে পুলিশের অন্তত ১০ সদস্যসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। রাসায়নিকের কনটেইনারে বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। প্রায় ১৫টি ইউনিট কাজ করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আসার আহ্বান সিভিল সার্জনের
পরবর্তী নিবন্ধকেঁপে ওঠে ৪ কিলোমিটার এলাকা, ভেঙে পড়ে ঘরের কাচ