বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “২০২৬ সাল বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলে গেছে। চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। একজন পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদু আছে? আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে। কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার হয়েছিল। বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়। বাংলাদেশ সরকার অ্যাডভান্সড চিন্তা করেছিল। তেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। ১০ শতাংশ তেল হয় দেশে। গম, ডাল আমদানি করতে হয়। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে তেল, চিনি, ছোলা দিয়েছি সাশ্রয়ী মূল্য। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “তেলের দাম বাড়ার পর বাম দল আমার পদত্যাগ দাবি করেছিল। বাণিজ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি আমার লোভ নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, যারা পদত্যাগ চেয়েছে তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কি না। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া তেলের দাম না কমালে এটি সম্ভব?”
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফ লাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সেই চট্টগ্রামকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে। আশা করি ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারব এবার।”
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
