চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি দুই পুলিশ কন্সটেবল।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, যে আটজনকে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে ছয়জন মঙ্গলবার দেশে ফিরলেও দু’জন আসেননি।
এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন কন্সটেবল মো. শাহ আলম এবং কন্সটেবল রাসেল চন্দ্র দে। ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন তারা হোটেল থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গীরা তাদের আর কোনো খোঁজ পাননি।
পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, “তাদের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ‘মিসিং রিপোর্ট’ করা হয়েছে।”
ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। স্কোয়াডে দুই প্রজাতির বেশ কিছু কুকুর রাখার কথা বলা হয় সেখানে।
কুকুর সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পায় মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার কোম্পানি। সেই অনুযায়ী ‘ম্যানেজমেন্ট, হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ট্রেইনিং অব ডগ’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে গত ৯ মে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নেদারল্যান্ডসে যায়।
চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন একজন এসআই (সশস্ত্র), একজন নায়েক এবং পাঁচজন কন্সটেবল।
পুলিশ কমিশনার তানভীর বলেন, “শাহ আলম ও রাসেল আট দিনের ওই প্রশিক্ষণ শেষ করেন কিন্তু দেশে ফেরার আগের দিন তারা দু’জন হোটেল থেকে বের হয়ে যান। পরে আর ফেরেননি।”
ইতোমধ্যে তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ সদর দপ্তর ও দূতাবাসের মাধ্যমে কী প্রতিবেদন আসে সেটি দেখা যাক। আর তারা দেশে ফিরলে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সফরকারী দলে থাকা সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।