চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় পরিষদে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর, পরিষদের মূল্যবান ফাইলপত্র তছনছ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। গতকাল সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ুন কবির, চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ঘটনার দিন মধ্যরাত ১২টার পর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের আশেপাশে বেশ কিছু লোকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে রাত ২টার পর স্থানীয় বদিউল আলম নামে এক ব্যক্তি সেহেরি খাওয়ার জন্য উঠলে পরিষদের দরজা খোলা দেখতে পান।
এসময় তিনি কাছে গিয়ে দেখেন পরিষদের ভিতরে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তিনি ঘটনাটি স্থানীয় চৌকিদার বদিউল আলম আনচারীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখার পর চেয়ারম্যানসহ সকলকে অবহিত করেন।
বরকল ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী জানান, রাতের অন্ধকারে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি ও আশেপাশের গরীব অসহায় কৃষকদের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছে স্থানীয় চিহ্নিত রাজাকার ও দেশদ্রোহী একটি গোষ্ঠী। পরিষদে এই ন্যক্কারজনক হামলা স্থানীয় জামাত শিবিরের দোসর, চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা করেছে। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও মাটিতে ফেলে অবমাননা ও ভাঙচুর করে।
তিনি অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িত সকল দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বরকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতের অন্ধকারে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বরকল ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা নিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে গত রবিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী।
