চন্দনাইশে সাপে কাটার ৮ দিন পর যুবকের মৃত্যু

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১২ আগস্ট, ২০২২ at ১০:১৭ অপরাহ্ণ

খানে আলম মোরশেদ (২৪) ও জানে আলম খোরশেদ (২৪)। মায়ের আদরের যমজ সন্তান ছিল তারা।

দুই ভাইয়ের মধ্যে খানে আলম মোরশেদকে সাপে কাঁটার ৯ দিন পর মারা গেছেন।

তাকে গত ৩ আগস্ট রাতে সাপে কাটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠে বাড়িতে চলে আসেন কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন খানে আলম মোরশেদ।

এরপর তাকে পুনরায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি ঘটে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হাছনদন্ডি গ্রামের আবু মুহুরী বাড়িতে।

মারা যাওয়া মোরশেদ ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুচ্ছা প্রকাশ নুরু মেম্বারের পুত্র।

এদিকে, যমজ দুই সন্তানের মধ্যে আদরের সন্তান খানে আলম মোরশেদকে হারিয়ে বিলাপ করছেন মা লায়লা বেগম। অপর সন্তান জানে আলম খোরশেদকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছেন তিনি।

মোরশেদের বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমার দুই ভাই যমজ হওয়ায় মা আদর করে তাদের নাম রেখেছিলেন খানে আলম মোরশেদ ও জানে আলম খোরশেদ। তাদের মধ্যে মোরশেদ ছিল ছোট। ভাই এখন আমাদের একা করে চলে গেল না ফেরার দেশে।”

তাদের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ওসমান জানান, দোহাজারী সিটি সেন্টারে তাদের প্রিন্টিং প্রেসের দোকান থেকে গত ৩ আগস্ট রাতে খানে আলম মোরশেদ বাড়িতে এসেছিল। রাতে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে সিঁড়ি ঘরের নিচে রাখা ইটের স্তূপ থেকে একটি ইট নেয়ার জন্য হাত বাড়ানো মাত্রই তাকে সাপে কাটে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সে স্বাভাবিক ছিল। পরে তার আস্তে আস্তে খারাপ লাগা শুরু করলে তাকে প্রথমে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল ৪ দিন। পরবর্তীতে তার শারীরিক উন্নতি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক থাকায় গত ৯ আগস্ট চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

এদিকে, গতকাল ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে সে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তাকে পুনরায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। এসময় রওশনহাটস্থ বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আজ শুক্রবার বাদে আসর স্থানীয় জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মোরশেদের যমজ ভাই খোরশেদ বলেন, “সাপে কাটার পর ভাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল। দুইজন একসাথে পৃথিবীর আলো দেখলেও সে আমাকে একা করে চলে গেল না ফেরার দেশে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিউ ইয়র্কে সালমান রুশদির ওপর ছুরি হামলা
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা