চন্দনাইশে স্ত্রী রেজিয়া বেগম(৫৫)কে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী রিকশাচালক এস এস আবদুস সাত্তার।
আজ মঙ্গলবার(৩১ মে) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে হাজির করা হলে আবদুস সাত্তার তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে, আবদুস সাত্তারের দেখানো স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আবদুস সাত্তার(৭০) আত্মগোপনে চলে যান। সর্বশেষ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষি কাজ করার সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে গতকাল সোমবার সকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের পর আলামত উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার দেখানো স্থান পটিয়া উপজেলার ১টি পুকুরের পাড় থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে রাগের মাথায় তার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ারপাড়ার মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র রিকশাচালক এস এস আবদুস সাত্তার তার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে নিজ ঘরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রেজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ঘাতক আবদুস সাত্তারের মেয়ে কামরুন্নাহার রুমা বাদী হয়ে পরদিন ৮ মে মাকে হত্যার দায়ে পিতাকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ হত্যা মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় আসামী আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে এবং দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।