মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠলেও হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. ছামিল আলমগীর জিহাদ (১৬) মাদ্রাসায় না গিয়ে চলে যায় কক্সবাজারে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসেন।
চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকার হাফেজিয়া ফয়জুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র জিহাদ গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠে কিন্ত এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার দাদী নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। জিহাদ চন্দনাইশ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের প্রবাসি মো. আলমগীরের পুত্র।
৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লোকমান হাকিম জানান, গত বৃহস্পতিবার জিহাদ মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে চন্দনাইশের বাড়িতে আসে। ৪ দিন পর গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তার মা তাকে কলেজ গেইট থেকে নগরীর উদ্দেশ্যে বাসে তুলে দেন কিন্তু এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজির পর এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, “গত সোমবার রাত ১২টার দিকে কক্সবাজারের এক হোটেল ম্যানেজারের মাধ্যমে খবর পাই জিহাদ কক্সবাজারে রয়েছে। খবর পেয়ে তার স্বজনরা রাতেই কক্সবাজার পৌঁছে তাকে নিয়ে আসেন। পরে সে জানায়, মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসে উঠলেও সে নগরীর বহদ্দারহাট নেমে অপর একটি বাসে করে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে চলে যায়। সেখান থেকে পুনরায় বহদ্দারহাট এসে বাসযোগে কক্সবাজার চলে যায়। রাতে সে সেখানকার একটি হোটেলে গিয়ে ম্যানেজারের কাছ রুম বুকিং চায়, হোটেল কর্তৃপক্ষ টাকা কে দিবে জিজ্ঞেস করলে তার মাকে বললে টাকা পাঠিয়ে দিবে বলে জানায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করলে পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজারে গিয়ে তাকে নিয়ে আসে।”
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হেফজ বিভাগের ছাত্র ছামিল আলমগীর জিহাদ নিখোঁজ হয়নি। সে কক্সবাজারে চলে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে আসে এবং সকালে থানায় হাজির করে। পরে থানায় দায়েরকৃত ডায়েরি প্রত্যাহার করা হয় এবং জিহাদ পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়।