চন্দনাইশে এক পত্রিকা হকার নিখোঁজের ৮ দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে চন্দনাইশ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তার নাম শ্যামল কান্তি নাথ বলে জানা গেছে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নের দেওয়ানজী পাড়াস্থ দাম্মো পুকুরে আজ মঙ্গলবার সকালে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেয়। পরে তিনিসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিখোঁজ শ্যামলের পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা এসে লাশটি ৮ দিন আগে নিখোঁজ শ্যামল কান্তি নাথের লাশ বলে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পুকুরে লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, শ্যামল কান্তি নাথ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নাথপাড়ার পুলিন বিহারী নাথের ছেলে। তিনি গত ২১ আগস্ট ভোরে ঘর থেকে বের হন। এরপর থেকে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ শ্যামলের ভাই পরিমল কান্তি নাথ বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।
নিখোঁজ শ্যামল কান্তি উপজেলার বরমা এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করতেন। তার স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। ছেলে প্রবাসী।
নিহত শ্যামলের ভাই পরিমল কান্তি নাথ জানান, পত্রিকা বিক্রির পাশাপাশি শ্যামল জায়গা-জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কাজও করতো। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তার বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তার ভাই শ্যামলকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি আশংকা করছেন। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।