চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে বিরল প্রজাতির ২টি রাজ ধনেশ পাখি উদ্ধার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ।
এসময় ১ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মো. মিজানুর রহমান (৪৮)।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকায় পুলিশ চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এ তল্লাশি চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ পাচারের সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে পুলিশের একটি দল গতকাল রবিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকায় অবস্থান নেয়।
এসময় বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশিকালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ ২টি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাচারকারী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মিজানুর রহমান পাবনা জেলার বেড়া থানার সিংহাসন এলাকার মৃত ফজিআর রহমানের পুত্র যিনি ওই বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাচারকারী মিজানুর রহমানকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ পাখি ২টি আজ সোমবার (২৯ মে) পটিয়া বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ পাখিগুলো পাচারের সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের কলেজ গেইট এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশিকালে দু’টি বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, রাজ ধনেশ পাখিগুলো আলীকদম থেকে চকরিয়া হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে সাতক্ষীরা নেওয়া হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে ভারত পাচার করা হতো। উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ দু’টি খুবই মূল্যবান এবং বিরল প্রজাতির। এ দু’টি পাখির আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন একটি চক্র বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি বিদেশে পাচার করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও বাঁশখালী থানা পুলিশ এ চক্রের ২ সদস্যকে ৪টি রাজ ধনেশ পাখিসহ গ্রেফতার করেছিল এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।”
অভিযানের সময় আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক জানান, রাজ ধনেশ পাখিগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা পাচারকারী মো. মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট স্বীকার করেন। এসময় তাকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।