চন্দনাইশের ধোপাছড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার(৯ আগস্ট) ভোরে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ সংলগ্ন চেমীরমুখ বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় ডা. হারুনের ফার্মেসি ও ব্যক্তিগত চেম্বার, মো. সাজ্জাদের মুদি ও কুলিং কর্নার, টিপু দাশের সার ও কীটনাশক, আবু তৈয়বের গ্যাস ও তেল, মো. তৌহিদের মোটর পার্টস ও গ্যারেজ, খোরশেদ আলমের গোডাউনসহ ৯টি দোকান মূল্যবান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভোরে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় দ্রুত কেউ আগুন নেভাতে এগিয়েও আসতে পারেনি।
পরে স্থানীয়রা বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলেও তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই ৯টি দোকান পুড়ে যায়।
এসময় রফিকুল ইসলাম ও আবুল বশর সওদাগর নামে ২ ব্যবসায়ীর আনুমানিক ৩ লাখ টাকা দামের ২টি মোটর সাইকেলও পুড়ে যায়।
ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম জানান, মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস আগে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ সংলগ্ন চেমীরমুখ বড়ুয়া পাড়া এলাকায় দোকানপাট গড়ে তুলেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে আগুন লেগে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কম করে হলেও অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পড়ে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব ব্যবসায়ীরাও এখন পথে বসেছেন।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি’র নির্দেশনায় তিনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিজন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমদ জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুন দ্রুত তেল ও গ্যাসের দোকানে এসে পড়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং পাশাপাশি ৮/৯টি দোকান গ্রাস করে নেয়।