চন্দনাইশে বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ে মারা এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মমতাজ বেগম(৫৫)। গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. খোরশেদ বিন ইসহাক জানান, ৮নং ওয়ার্ড এলাকার আবদুল হকের বসতঘরে গত রাতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এসময় বাড়ির সকল সদস্য নিরাপদে বের হতে পারলেও আবদুল হকের বোন মমতাজ বেগম বের হতে পারেননি। এতে ঘরের ভিতরে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হন তিনি।
নিহত মমতাজ বেগম তার ভাই আবদুল হকের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড থেকে বেড়াতে এসেছিলেন।
নিহত বৃদ্ধা মমতাজ ৭নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার স্ত্রী।
খোরশেদ বিন ইসহাক আরো জানান, পুড়ে যাওয়া বাড়িটি একলা হওয়ায় এবং রাস্তাঘাট সরু হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের সময় দমকল বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। ফলে চোখের সামনেই পুরো বসতঘর, বসতঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মূল্যবান মালামাল ও কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শামসুল আলম জানান, গত সপ্তাহে আবদুল হকের ছেলের বিয়ে ছিল। বিয়ে উপলক্ষে তার বোন বৃদ্ধা মমতাজ বেগম তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা চলেও গেলেও তিনি ভাইয়ের বাড়িতে থেকে যান। ঘটনার রাতে আবদুল হকের বাড়িতে আগুন ধরে গেলে পরিবারের সবাই বের হয়ে যায় কিন্তু ওই বৃদ্ধা মহিলা চোখে একটু কম দেখতেন এবং অসুস্থতাজনিত কারণে হয়তো বের হতে পারেননি। এতে ঘরের ভিতরে আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নিহত বৃদ্ধা মহিলার পরিবারে ২০ হাজার টাকা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ২ বস্তা শুকনো খাবার প্রদান করেন। এছাড়া চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও ২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় কারো কোনো আপত্তি না থাকায় আজ শনিবার সকালে মমতাজ বেগমকে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
