চন্দনাইশে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ নারী মাদক কারবারি, সাজা ও অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন, ডাকাতি মামলায় ১ জনসহ ৮ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) পুলিশ পৃথক এ অভিযান চালায়।
পুুলিশ জানায়, ইয়াবা পাচারের সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পুরাতন সড়ক ভবন অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে তাতে তল্লাশি চালানো হয়।
এসময় মাইক্রোবাসের যাত্রীবেশে ২ নারী মাদক কারবারিকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা ইয়াবাগুলো স্যান্ডেলের ভিতরে করে বিশেষ ব্যবস্থায় পাচার করছিল।
গ্রেফতারকৃতরা কক্সাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম সিদকদারপাড়া মনিয়ার জুম এলাকার ওসমান গণির স্ত্রী জোহুরা (৩৭) এবং একই এলাকার আবদুল গফুরের স্ত্রী জাহানারা (৩০)।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেফতারকৃত অন্য ৬ আসামীরা হলো উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার পশ্চিম হাছনদন্ডি এলাকার মোহাম্মদ আবুর স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম (৩২), তার বিরুদ্ধে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ রয়েছে, একই এলাকার সতীশ মাষ্টার বাড়ির মিন্টু দাশের স্ত্রী টুম্পা দাশ (৩৩), তার বিরুদ্ধে ৩ মাসের বিনাশ্রম ও অর্থদণ্ড রয়েছে।
একই দিন দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকার মো. শামসুর ছেলে জিআর পরোয়ানাভুক্ত আসামী মো. ইলিয়াছ (২৫), পূর্ব হাছনদন্ডি এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে সিআর পরোয়ানাভুক্ত আসামী ওয়াহিদুল ইসলাম (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, গত ১৯ নভেম্বর ভোররাতে পুলিশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পূর্ব দোহাজারী এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে ডাকাতি মামলার আসামী আবদুল মাবুদ এবং দোহাজারী ময়নার বাপের পাহাড় এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে ওয়াহিদুল্লাহ (১৯)কে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড রয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।