চকরিয়ায় রোহিঙ্গা নাগরিক হত্যার ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৯:৪৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারধরে রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ইউনুস (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা রুজু করেছেন।

আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চকরিয়া থানায় রুজুকৃত মামলায় এজাহারনামীয় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, মামলা দায়েরের পর পরই মামলার প্রধান আসামি নূর নবীকে (২৮) হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামি হলো চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালা চাঁদ মায়ের ঘোনা গ্রামের বদর আলমের ছেলে নূর নবী (২৮) ও একই এলাকার মৃত নাগু মিয়ার ছেলে জহির আলম (৫০)। তবে এই দুইজনের স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশ্যাঘোনা গ্রামে। তারা দীর্ঘ ৯ বছর আগে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর বনভূমি দখলে নিয়ে অবৈধ বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিল।

একইভাবে রোহিঙ্গা নাগরিক ইউনুসও সেখানে বসতি স্থাপন করেন। তিনি বিয়ে করেন পেকুয়ার মগনামা এলাকার মৃত মো. জাফরের কন্যা রহিমা বেগমকে।

মামলার এজাহারে বাদী রহিমা বেগম জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ইফতারের আগে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে মোবাইল ফোনে লুডু খেলছিলেন রোহিঙ্গা ইউনুসসহ কয়েকজন। এ সময় ইউনুসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে নূর নবীর মধ্যে। কিছুক্ষণ পর নূর নবী তার চাচা জহির আলমকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে মারধর করতে থাকে ইউনুসকে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ হারায় নূর নবী।

মামলা রুজু ও প্রধান আসামি গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের পর পর জড়িতদের ধরতে পুলিশ নজরদারি বাড়ায়। এতে হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার দুপুরে প্রধান আসামি নূর নবীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাকে পেকুয়ার স্থায়ী ঠিকানার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তারের পর চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে রাতে। অপর আসামি নূর নবীর চাচা জহিরকেও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহসিন কলেজ মানবিক ফাউন্ডেশনের ইফতার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধদুর্গম পার্বত্য এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের বাস্তবায়ন চলছে