চকরিয়ায় জমজমাট কোরবানির পশু বেচাকেনা

অপরাধ রোধে তৎপর পুলিশ, জাল নোট শনাক্তে মেশিন

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৯:১১ অপরাহ্ণ

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসার শেষ মুহূর্তে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বসানো পশু বিকিকিনির ১৭টি হাট। এসব হাটে এখন চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ব্যাপক মানুষের সমাগম। সরেজমিন প্রতিটি পশুর হাটে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে।

এদিকে, কোরবানির পশুর হাটে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার করা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণে স্থাপন করা হয়েছে মেশিন। পুলিশের এসব কার্যক্রমের কারণে এখনো পর্যন্ত চকরিয়ার পশুর হাটগুলোতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পশুর হাটগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনও করছেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বড় ৪টি বাজারসহ মোট ১৭টি স্থানে কোরবানি উপলক্ষে পশুর হাট বসেছে।

প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট হিসেবে পরিচিত চকরিয়ার ঐতিহ্যবাহী ইলিশিয়া বাজার। এই বাজারে হাজার হাজার গরু-মহিষ-ছাগল বেচাকেনা হয়ে থাকে।

একইভাবে বরইতলী ইউনিয়নের একতা বাজার তথা গরুর বাজারেও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

আজ শুক্রবার(৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম একতা বাজারের পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, অপারেশন অফিসার রাজীব সরকার, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আজহারুল ইসলাম।

চকরিয়ার বড় পশুর হাটগুলোতে দেখা যায় হাজার হাজার গরু-মহিষ ও ছাগল হাটে তোলা হয়েছে। ক্রেতা সমাগমও যথেষ্ট। চকরিয়া উপজেলা ছাড়াও আশপাশের উপজেলা এবং সুদূর চট্টগ্রাম শহর, পটিয়া, বোয়ালখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া থেকেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে হাটগুলোতে। গভীর রাত পর্যন্তও হাটগুলোতে বেচাকেনা চলছে পশুর। তবে পশু আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত যানবাহনের কারণে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয় হাটগুলোতে। তবে পুলিশের তৎপরতায় যানজট স্থায়ী হয়নি।

পশুর হাট প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, “কোরবানির পশুর হাটগুলোর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। তাই এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।”

সরেজমিন কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “কক্সবাজার জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে মৌসুমী অপরাধী ধরতে যেমনিভাবে পুলিশ তৎপর রয়েছে তেমনিভাবে জালনোট শনাক্ত করতেও মেশিন বসানো হয়েছে। আবার পশু আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত যানবাহনের কারণে যাতে কোথাও যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকেও পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। তাই এখনো পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামের কিছু মানুষ ঈদ করবে কাল
পরবর্তী নিবন্ধপ্রেমিকার বিয়ে চূড়ান্ত হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা