চট্টগ্রামের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে

চিটাগং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ে ভারতীয় হাইকমিশনার

| শনিবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল) ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন ও নবনির্বাচিত পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এতে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, নবনির্বাচিত পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়াসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উভয়দেশের মধ্যে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরো বাড়াতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহে কানেক্টিভিটির পাশাপাশি আধুনিকায়নের ওপর জোর দিতে হবে। ভারত সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরো ৭টি স্থলবন্দর গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে।”

এছাড়া বাণিজ্য সহজীকরণ করতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কীভাবে কমন টেস্টিং ফ্যাসিলিটির আওতায় আনা যায় সেই বিষয়ে উভয়দেশের কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একক এবং যৌথ বিনিয়োগের জন্য চেম্বার টু চেম্বার যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দু’দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে বিনিময়ে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এছাড়া ভারত ৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি কোটায় বাংলাদেশকে রাখায় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে।”

তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হলো প্রস্তাবিত কমপ্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট(সিইপিএ)। এটি উভয়দেশের জন্য গেইম চেঞ্জার হবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।”

কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের মাল্টিমোডাল যোগাযোগের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের চট্টগ্রামে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে ২ শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকানাডার অন্টারিওতে প্রবাসী বাংলাদেশী খুন