চট্টগ্রামে শনিবার সকালে হঠাৎ করে জামায়াত-শিবির যে মিছিল বের করে সেখান থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে নগর জামায়াতের আমিরসহ ১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হওয়া এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ জনকে।
এসআই কামরুজ্জামান খানের করা এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহন চলাচলে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নগর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শাহজাহানকে।
এছাড়াও নগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়েদ উল্লাহ ও মো. নজরুল ইসলাম, নগর সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, জামায়াত নেতা শামসুজ্জামান হেলালীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে শনিবার সকালের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, শনিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে ‘গণমিছিল’ করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
মিছিল শেষে মোহাম্মদপুরে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে ওঠার পথ বন্ধ করে সমাবেশ করে তারা।
তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর এই মিছিল-সমাবেশের বিষয়ে পুলিশ আগে থেকে কিছুই জানত না। প্রায় ৪০ মিনিট সড়ক বন্ধ থাকার পর পুলিশ সেখানে গেলে তাদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।”
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৯ জনকে।
জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার এ কর্মসূচিতে মিছিলের সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘কেয়ারটেকার সরকারসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে’ গণমিছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সড়কে সমবেত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর, যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল তাদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তারা হলেন মো. মাসুদ পারভেজ, শেখ তাজুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, বেলাল হোসেন, মো. তৌহিদুজ্জামান, মো. আরিফুল ইসলাম, ইসমাইল দাউদ, মো. সোহেল ও নুর মোহাম্মদ।
তারা জামায়াতের ইউনিট পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে আব্দুল বারেক ওরফে ছোটন, মো. রুবেল, মো. শামীম ও আব্দুর রহমানকে।