হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের কোদালের কোপে দুই ভাই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড়ুয়াপাড়ার হরেন্দ্র মহাজনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার মৃত হরেন্দ্র মহাজনের ছেলে গিন্নি বড়ুয়া (৬৩) তার বসতঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। বসতঘরের পিছনে পাকা শৌচাগারের দেওয়াল নির্মাণ করার সময় তার ভাই তুষার বড়ুয়া বাধা প্রদান করেন।
গিন্নি তার পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত জায়গায় পাকা দেওয়াল নির্মাণ করেন যার কাজ শেষ হয় কয়েক দিন পূর্বে।
দেওয়ালের বাইরের অংশের আস্তরের কাজ করতে গেলে পুনরায় তুষার বাধা প্রদান করেন। শৌচাগারের বাইরের দেওয়ালের আস্তরের কাজে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গিন্নি গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের শরণাপন্ন হন।
চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান দুই ভাইকে ডেকে বিষয়টির ব্যাপারে শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুসারে গিন্নি আজ বৃহস্পতিবার আস্তরের কাজে শুরু করেন। আস্তরের কাজ শেষ হওয়ার পর বিকালে তুষার এসে আস্তর করা দেওয়াল কুপিয়ে নষ্ট করে ফেলে। এ সময় তুষার তার ভাই গিন্নিকে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
দুই ভাইয়ের বিবাদ নিষ্পত্তি করতে গেলে তুষার তার ভাই মানিক বড়ুয়া(৬৫)কেও কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
স্বজনেরা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে তাদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতদের চমেক হাসপাতালের ২৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে বলে আহতদের সাথে থাকা সজিব বড়ুয়া রাতে জানান।
আহত মানিক বড়ুয়ার ছেলে রাজেল বড়ুয়া জানান, তার কাকা গিন্নি বড়ুয়া তার শৌচাগারের বাইরের দেওয়ালের আস্তরের কাজ শেষ হওয়ার পর তার আরেক কাকা তুষার বড়ুয়া এসে তার কাকা গিন্নি বড়ুয়াকে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এই সময় তার বাবা মানিক বড়ুয়া বিবাদ মীমাংসার জন্য গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে কাকা তুষার বড়ুয়া।
পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে তাদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
বিষয়টির ব্যাপারে জানার জন্য আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তুষার বড়ুয়ার খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শৌচাগারের বাইরের দেওয়ালে আস্তর করতে বাধা দেওয়ায় গিন্নি তার সহযোগিতা চাইলে তিনি দুই ভাইকে ডেকে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেন কিন্তু তুষার তার কথা অমান্য করে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়।
তিনি খবর পেয়ে আহতদের চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।