কোনো পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ভিডিও বিজ্ঞাপনে যখন কোনো তথ্য, উপাত্ত, ওয়েব এলিমেন্ট ইত্যাদি এনিমেশনের সাহায্যে দেখানো হয় তখন তাকে বলা হয় মোশন গ্রাফিক্স বা মোশন গ্রাফিক এনিমেশন।
গত ৩-৪ বছর ধরে মোশন গ্রাফিক্সের চাহিদা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলছে। কেন এই ব্যাপারটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তার কিছু কারণ আমি এখানে উল্লেখ করছি।
১) যখন আপনি উচ্চ পর্যায়ের টেকনিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত থাকবেন এবং সহজভাবে ভোক্তাদের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে চাইবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সহজ কোনো একটা মাধ্যম অবলম্বন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে আপনার মাথায় আসবে ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের কথা।
এই ক্ষেত্রে বড় বাজেট করে ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরি করার চেয়ে সহজে মোশন গ্রাফিক এনিমেশনের মাধ্যমে আপনার বার্তাটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আপনার কাছে উত্তম সমাধান হবে।
বর্তমানে আমাদের দেশের টেলিকম কোম্পানি, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স ব্র্যান্ডসমূহ এই পদ্ধতিতেই নিজেদের বিজ্ঞাপন তৈরি করে যাচ্ছে যা একাধারে তাদের খরচও কমাচ্ছে আবার কম সময়ে বার্তাটিও আরো পরিষ্কারভাবে পৌঁছে দিচ্ছে সবার কাছে।
২) মোশন গ্রাফিক এনিমেশনের সাহায্যে মূল বার্তাটি খুব সহজে ফোকাস করা যায় যার দরুণ আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে এটি বেশি কার্যকরী। টিভিসি বা ভিডিও বিজ্ঞাপনে আপনি অনেক টেকনিক্যাল ইনফরমেশন যথাযথভাবে বোঝাতে পারবেন না যেটা কি না মোশন গ্রাফিক্সের মূল কারিশমা।
৩) একটা টিভিসি আপনি ৫টি ভাষায় করতে চাইলে আপনার প্রোডাকশন খরচ, ডাবিং খরচ ইত্যাদি কয়েকগুণ বেশী লাগবে কিন্তু মোশন গ্রাফিক এনিমেশনে শুধু উক্ত ভাষাসমূহের অনুবাদটুকু পালটে দিলেই আপনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে একাধিক ভাষায় আপনার বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন।
আরেকটা মজার বিষয় হলো, যেহেতু মোশন গ্রাফিক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনিমেশন ব্যবহার করা হয় তাই যেকোনো ভাষার এবং শ্রেণীর মানুষ এটা দেখলেই বিজ্ঞাপনের সঠিক বার্তাটি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যায় যেটা আপনি গতানুগতিক টিভিসিতে পারবেন না।
৪) মোশন গ্রাফিক এনিমেশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো, এটা বিনা অডিওতেও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
যেহেতু মোশন গ্রাফিক এনিমেশন সম্পূর্ণ তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন, সুতরাং এতে অডিও না থাকলেও আপনি কোনো সমস্যা ছাড়াই বুঝে যাবেন বিজ্ঞাপনটা।
লেখক: ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার
www.facebook.com/dawood.arman