ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪

তারা যাচ্ছিলেন ওরশে

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ১১ আগস্ট, ২০২৩ at ৩:৩২ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত খরমপুর রেলব্রিজ সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতদের মধ্যে দু’জন হলেন নরসিংদীর মাধবী থানার দোয়ারি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে শুকুর মিয়া (৬০) ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার তমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি ভুঁইয়া। অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের পৌর শহরের খরমপুর রেলব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, “ওরশ উপলক্ষে খরমপুর মাজারে লাখো লোকের সমাগম হয়েছে। এ সময় কিছু লোকজন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। এতে পারাপারকারীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং অনেকেই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাতে নদী থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও দু’টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মুনিম সারোয়ার জানান, ঘটনার সময় রেলব্রিজ থেকে কতজন ছিটকে পড়েছে তা সঠিক করে কেউ বলতে পারছে না। তিতাস নদীতে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো ভক্ত আশেকানদের সমাবেশ ঘটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকায় মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ২৩ রোহিঙ্গার
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে সাঙ্গু নদীর ভাঙনে ভবনসহ ৭ বাড়ি বিলীন