বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৫ আসনে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি
এই পাঁচ আসনের ফয়সালা হওয়ার পর ঘোষণা করা হবে সংরক্ষিত নারী আসনের (মহিলা আসন-৫০) ভোটের তারিখ।
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া শূন্য পাঁচ সংসদীয় আসনে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ভোটের তারিখ রেখে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রোববার (১৮ ডিসেম্ব) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভায় এই তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৮ জানুয়ারি বাছাইয়ের পর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে।
১ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে। ভোট পর্যবেক্ষণে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরে ছয়জনের আসন শূন্য ঘোষণা করে গত ১১ ডিসেম্বর রাতেই গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এই ছয়জন হলেন জাহিদুর রহমান, মো. মোশারফ হোসেন, জি এম সিরাজ, মো. আমিনুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ভূঞা ও রুমিন ফারহানা।
তাদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনের ছেড়ে যাওয়া আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো।
রুমিন ফারহানার পদত্যাগে শূন্য হওয়া সংরক্ষিত নারী আসনে (মহিলা আসন-৫০) ভোট তারিখ এই পাঁচ আসনের ফয়সালা হওয়ার পর ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আসনে উপ-নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদের পদত্যাগপত্রও স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু স্ক্যান করা সই ও ইমেইলে পাঠানো ওই পদত্যাগপত্র ‘স্বাক্ষরযুক্ত’ বিবেচিত না হওয়ায় তাকে আবার জমা দিতে হবে।
তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে নিজের স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে বিএনপি’র পদত্যাগীরা জানিয়েছেন।