সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে বসেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সেখানে মাঠের দুই পাশে বিএনপি’র কর্মীরা অবস্থান নিয়ে অনশন করেছেন। এতে সাধারণ মানুষও এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন উপস্থিত হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ও আবু সুফিয়ানকে পানি ও ফলের রস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “দেশে একটা দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। আর সরকার উন্নয়নসহ নানা ধরনের মন ভুলানো কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ না খেয়ে, আধপেট খেয়ে দিনযাপন করছে। শুধু নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ নয় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাও টিসিবি’র লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে বুঝা যাচ্ছে শুধু দুর্ভিক্ষের ছায়া নয়, দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। সরকার হরিলুট ও দুর্নীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের যে ক্রোধ তা থেকে সরকার রক্ষা পাবে না।”
বাজার সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “আজকে চাল, ডাল, তেল, মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবি’র লাইনে উপচে পড়া ভিড় কারণ মানুষ চাইছে কম দামে কিছু পেতে। সেখানে দেখা যায় ২/৩ ঘণ্টা পর আর কিছু নেই মানুষ খালি হাতে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না, আজকে প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সোমবারও গ্যাসের দাম ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্যাসের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস জড়িত থাকার কারণেই দাম বৃদ্ধি পাবে। জনবিরোধী সরকার জনগণের জন্য কোনো মায়া দরদ নেই ফলে তারা এই কাজগুলো করতে পারে। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। তিনি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচী সফল করার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, “দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমশিম খাচ্ছে তারা। সেখানে যদি আবারও পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে আবার সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। বিএনপি যেকোনো রকমের মূল্যবৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী। এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ। আমরা কোনোমতেই এটা সমর্থন করি না।” তিনি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শেখ নুরুল্লাহ বাহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মো. শাহাবুদ্দীন, নুর হোসাইন, মাইনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, মহানগর মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক হাজী নুরুল হক, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দীন নাহিদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামসুল আলম, জমির আহমেদ, মো. ইলিয়াছ, খাজা আলাউদ্দিন, এস এম ফরিদুল আলম, মোশারফ জামাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, মো. হারুন, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাজী আবু ফয়েজ, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, মামুন আলম।