করোনাভাইরাস মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়া সাময়িক মন্তব্য করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে কেউ না খেয়ে নেই, সবার গায়ে কাপড় আছে’।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থা এত খারাপ হলে উন্নয়ন সহযোগী দেশ এবং সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ দেখাত না। ফলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কী করেছে আর আমরা কী করছি? ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।”
আজ বুধবার(১০ আগস্ট) রাজধানীতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংলাপের বিষয়ে জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ তাদের প্রয়োজনের বড় অংশের জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় বিশ্বজুড়েই দাম বেড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনই চান না। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। গ্রাম-গঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।”
ভর্তুকি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “সরকার কাকে ভুর্তকি দিবে? ধনীকে না গরীবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।”
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক বক্তব্য রাখেন।