রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আলোচনা করতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মিয়ানমারের অভিবাসন বিভাগের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফে জেটিঘাটে পৌঁছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের স্বাগত জানায়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এ বিষয়ে বৈঠক চলছে বলে সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ক্যাম্পে অবস্থানকালে জন্ম নেওয়া শিশুদের সত্যতা যাচাইয়ের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার একটি পরিকল্পনাও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে থাকতে পারে বলে শরণার্থী কমিশনের সূত্র জানিয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তার নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া, টেকনাফ ও ভাসানচরের ৩৩টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত উদ্বাস্তুদের আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার ফেরত গ্রহণের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে।
মিয়ানমারের গৃহীত প্রস্তুতির বিষয়ে সরেজমিনে অবহিত করাতে বিদেশি কূটনীতিকদের গত বুধবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নাগাখুইয়ে অভ্যর্থনা ও হ্লা পু খং-এর অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করানো হয়েছে।
আসিয়ান মানবিক সহায়তা কেন্দ্র বা এএইচসি-এর দেশগুলোর দূতাবাসের প্রধানগণ ছাড়াও মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশ,চীন ও ভারতের রাষ্ট্রদূতরা মংডু এলাকা পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে অনেক কিছু লিপিবদ্ধ থাকলেও মিয়ানমারের অনমনীয়তায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী অং সান সুকি সরকারের আমলে প্রথম ২০১৮ সালের নভেম্বরে ২,২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে উদ্যেগ নিয়েছিল মিয়ানমার।
এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় আবারও ৩,৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত গ্রহণের প্রস্তুতি নিলেও সেসময় কোনো রোহিঙ্গা ফিরে যায়নি।