চোর চিনে ফেলায় বাঁশখালীতে খুন করা হয় গৃহকর্মী রাফিয়াকে

এজাহারনামীয় ২ আসামী গ্রেফতার

বাঁশখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:৩২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়ার রাফিয়া বেগম(৪৫) হত্যার ঘটনায় মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এতে কেয়ারটেকারসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলো ছনুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হাঁসপাড়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে দেলোয়ার হোসাইন ওরফে ফজু (৪৫), একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছুরুতিয়া পাড়া এলাকার আবদু ছমদের ছেলে মিরাজ উদ্দিন (২২)সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে থাকতেন খুনের শিকার রাফিয়া বেগম। রাফিয়া ৪নং ওয়ার্ডের হাঁসপাড়া এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী। স্বামীর সাথে রাফিয়া বেগমের বিচ্ছেদ হয়েছে ১০ বছর আগে। সেই থেকে আলাদাভাবে ছোট ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন রাফিয়া। বড় ছেলে মামুনুর রশীদ থাকেন বাবার সাথে। ছোট ছেলে হারুনুর রশীদকে নিয়ে ছিল রাফিয়া।

বিগত ৬ মাস আগে ধারদেনা করে হারুনকে প্রবাসে পাঠিয়ে পরে গৃহপরিচারিকার কাজ নেন মনুমিয়াজী বাড়ির আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে নামাজ পড়ার জন্য বের হলে মনুমিয়াজি বাড়ির পুকুরের ঘাটে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয় রাফিয়াকে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামী আবদুল মালেকের ছেলে দেলোয়ার হোসাইন ওরফে ফজু ও আবদু ছমদের ছেলে মিরাজ উদ্দিনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, “গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআইইউতে অনুষ্ঠিত হলো ‘রোবো রেস ২০২৩’
পরবর্তী নিবন্ধআরও করুণ পরিণতি হবে বিএনপির