হোটেল নামী-দামী কিন্তু খাবার পঁচা-বাসী

বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

বাঁশখালী প্রতি‌নি‌ধি | বুধবার , ২৪ মে, ২০২৩ at ৪:০৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রা‌মে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসদ‌রে অব‌স্থিত নামী-দামী ৪‌টি হোটেল-রেস্তোঁরাকে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার (২৪‌ মে) দুপু‌রে উপ‌জেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নের্তৃত্ব এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এই সময় পঁচা-বাসী খাবার সংরক্ষণ-বিক্রয়, খাবার তৈরিতে পোড়া তেল ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না, মাছি পড়া খামি দিয়ে জিলাপি প্রস্তুত ও পরিবেশেনের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এ ভাই-ভাই হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, গ্রীন চিলি রেস্টুরেন্টেকে ১০ হাজার টাকা, নিউ সাফরান রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা, রয়েল হান্ডি রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপ‌জেলা ও পৌরসদ‌রে এগু‌লো বে‌শি দা‌মের খাবার বিক্রয়কা‌রী নামী-দা‌মী হোটেল-রেস্তোঁরা হিসা‌বে প‌রি‌চিত।

অ‌ভিযা‌নের ব‌্যাপা‌রে উপ‌জেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান ব‌লেন,
“বাঁশখালীতে হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান করতে গিয়ে দেখলাম বেশির ভাগ মালিকপক্ষ, কর্মচারী সকল অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে। এক হোটেলের মালিক বুড়ি চাচার যুক্তি হলো জিলাপির খামিরে ৪-৫ টা মরা মাছি থাকা, রান্নাঘর অপরিষ্কার থাকা কিংবা ফ্রিজে দীর্ঘদিনের পঁচাবাসী খাবার রাখা ও পরিবেশন স্বাভাবিক বিষয়। আরেক রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছে খাবারে পোড়া তেল ব্যবহার, নর্দমার পাশে রান্নাঘর করা, রান্না করা বাসী খাবার ফ্রিজে রেখে গ্রাহকদের খাওয়ানো স্বাভাবিক বিষয়।” ‌

তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, “খাবার দোকানগু‌লো কীভা‌বে এত অপ‌রিছন্ন থা‌কে, জনগণও কেন এসব দোকান থে‌কে চড়া দা‌মে খাবার খায় সেটাই প্রশ্ন।”

এ‌দি‌কে ভ্রাম‌্যমাণ আদালত প‌রিচালনা করে জ‌রিমানার ব‌্যাপা‌রে উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী ব‌লেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে এবং জনগণকে স‌চেতন কর‌তে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু