নিষিদ্ধ বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার
বাঁশখালীর উপকুলে জেলেদের জরিমানা ও জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় বিতরণ
বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালীর ছনুয়া সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার দায়ে ২০ জেলেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় একটি মাছ ধরার ট্রলার, ৮০ কেজি ইলিশ মাছ ও জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালীর ছনুয়া সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
অভিযানে নিষেধাজ্ঞা না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে এফবি তৃষ্ণা-২ ফিশিং ট্রলার সহ আটক করা হয় ২২ জেলেকে।
আটককৃত জেলে ও ফিশিং ট্রলারটি ভোলার মনপুরা ও সন্দ্বীপের সুজন বহাদ্দারের বলে জানা যায়।
তাদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ায় বাকি ২০ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ট্রলারে থাকা জ্বাল ও প্রায় ৮০ কেজি ইলিশ মাছ ও ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ট্রলারটি মালামালাসহ ছনুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কালুর জিম্মায় দেওয়া হয়।
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, “বাঁশখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে নৌবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে ২০ জেলেকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এ ৫ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোলার মনপুরা এলাকার এফবি তৃষ্ণা-২ ফিশিং ট্রলারে থাকা জ্বাল, প্রায় ৮০ কেজি ইলিশ মাছ ও ট্রলারটি জব্দ করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ট্রলার মালিকের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। জব্দকৃত মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।”