বাঁশখালীতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের উদ্যোগে নিবন্ধনবিহীন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আজ শনিবার(২৮ মে) সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসদরের নিউডেন্টাল কেয়ার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাঁশখালী মাতৃসদন জেনারেল হাসপাতাল, এপোলো হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সর্বমোট এক লাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই সময় একটি ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং অন্য ক্লিনিকগুলোর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার, মেডিকেল অফিসার ডা. হীরক কুমার পাল, এসআই প্রদীপ চক্রবর্তী এবং উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায় বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিকে দায়িত্বরত নার্স বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রী। বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিক করার জন্য লাইসেন্স কিংবা প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র এসব প্রতিষ্ঠানের নেই। অভিযান পরিচালনাকালে এসব বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিকের অংশীদারগণ জরিমানা ও সিলগালা থেকে বাঁচতে নানাভাবে তদবির করে।
এসময় বেসরকারি জলদী আধুনিক হাসপাতাল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, “বাঁশখালীতে নানাভাবে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিকের কোনো লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। বছরখানেক আগে এসবে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা করেনি।”
বেসরকারি নিবন্ধনহীন সকল হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার নামে এসব অনিয়ম কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের নির্দেশে সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিকে অভিযান শুরু হয়েছে।”
যথাযথ নিয়ম মেনে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ল্যাব ও ক্লিনিক চলতে দেওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।