বাঁশখালীতে ৪টি বিরল ধনেশ পাখি উদ্ধার

দুইজনকে ৬ মাস জেল

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৬ মে, ২০২৩ at ৪:৫৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানা পুলিশ বিশেষ চেক পোস্ট স্থাপন করে ও অভিযান চালিয়ে বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে।

এরপর পাচারকারী ও উদ্ধারকৃত ধনেশ পাখি থানা হেফাজতে রাখা হলেও আজ শুক্রবার (২৬ মে) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নের্তৃত্ব এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

মূল পাচারকারী বাগেরহাটের শরণখোলা এলাকার মৃত ফজলুল হকের পুত্র মিজানুর রহমান(৪২) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক চকরিয়ার পানখালী এলাকার আবদুল মালেকের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম(৫২)কে রাজ ধনেশ পাখি বিক্রয়/পাচারের উদ্দেশ্য পরিবহন করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪ ধারার অপরাধে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়।

এ সময় ধনেশ পাখি উদ্ধার ও পাচারকারী আটকে নেতৃত্বে দেওয়া সহকারী পুলিশ সুপার(আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল হাসান, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, রামদাশ হার্ট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলাইমান, বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শুধাংশু শেখর হাওলাদার, বাঁশখালী থানার এসআই রাজীব কুমার পোদ্দার, মো.: মাসুদ, এএসআই মো. খালেক, বাঁশখালীর জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার ও পাচারকারীকে গ্রেফতারের ব্যাপারে বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে পাচারকারীরা বান্দরবনের লামা আলীকদম থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া হয়ে বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশ পাখি নিয়ে অটোরিকশার পিছনে বিশেষ কায়দায় নিয়ে লোহাগাড়া-সাতকানিয়া সড়ক না হয়ে পেকুয়া বাঁশখালী সড়ক হয়ে যাচ্ছে এ খবরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ৪টি চেক পোস্ট বসায়। দীর্ঘ সময় থেকে পাচারকাজে জড়িত পাচারকারী দলের সদস্য অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ সেলিম ৩টি চেক পোস্ট অতিক্রম করে কালীপুরের গুনাগরি নামক স্থানে গেলে অটোরিকশায় বিশেষ কায়দায় পাহাড়ি বাঁশের ভেতরে রাখা ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে মূল পাচারকারী মিজানুর রহমানকে আনোয়ারার মইজ্জার টেক এলাকা থেকে কার সহ আটক করা হয়।”

আটক অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ সেলিম দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের বিরল বন্যপ্রাণি ৭/৮ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে লামা, আলীকদম, চকরিয়া এলাকা থেকে চট্টগ্রাম ও আনোয়ারায় পৌঁছে দিতেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। সেখান থেকে মূল পাচারকারীরা অন্যত্র নিয়ে যেত।

উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ পাখির বাজার মূল্য ৭/৮ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।

উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ পাখি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা কিংবা চকরিয়া সাফারি পার্কে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ ছাড়তে পারবেন না ইমরান ও তার স্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধহালদা নদী থেকে জাল জব্দ