বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ এলাকার ৩২ জেলেসহ বাংলাদেশের ৮৮ জেলে সীমানা অতিক্রম করায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তারা ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ নামখানা কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করে।
বাংলাদেশ সরকারের আইনী প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) তাদের ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনীর জাহাজে করে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্তে নিয়ে আসা হয় বলে জানান বাঁশখালীর শীলকূপের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আকবর বাহাদুর।
পরে তারা বাংলাদেশের নৌযান কিংবা ফিশিং বোটে করে এলাকায় ফিরবেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৩২ জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। তারা সাগরে ঘন কুয়াশায় পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি। অবৈধভাবে সীমান্তে প্রবেশ করায় ট্রলারসহ ৩২ জেলেকে আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ সময় কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকার এবং বাঁশখালীর ৩২ জেলে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ নামখানা কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করেন।
ভারতের কারাগার থেকে মুক্ত জেলেরা হলেন শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের ওমর মিয়ার ছেলে শাহ আলম, ওমর কাজীর ছেলে ছাবের, আলী আকবরের ছেলে সৈয়দুল আলম, ওমর কাজীর ছেলে হাবিবুর রহমান, মোস্তফা আলীর ছেলে কামাল হোসেন, হাবিব উল্লাহর ছেলে জিয়াউর রহমান, কামাল উদ্দীনের ছেলে দিদারুল আলম ও জয়নাল আবেদিন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে নুর হোসেন ও আজগর হোসেন, সিকান্দার আলীর ছেলে আলী আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে জাফর আহমদ, মো. ইউসুফের ছেলে আকতার হোসেন, হানিফের ছেলে কবির হোসেন, হাসান আলীর ছেলে আবুল হোসেন, আহছান আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, ওমর কাজীর ছেলে জয়নাল উদ্দীন, আবুল কাশেমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, আবুল কাশেমের ছেলে ওবাইদুল হক, আলী আহমদের ছেলে মো. আবদুল্লাহ, হারুনুর রশিদের ছেলে শামসুল আলম, নবী হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, শাহ আলমের ছেলে মো. ফারুক, আবদুল আজিজের ছেলে মো. জোনাইদ, লাল মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ, নুরুচ্ছফার ছেলে আহমদ নুর, সৈয়দ নুরের ছেলে আরিফ উল্লাহ, আবদুস সালামের ছেলে হোসেন আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে নুরুল আলম, নজির আহমদের ছেলে জসীম উদ্দীন এবং আমির আমজার ছেলে মো. ইয়াছিন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শীলকূপ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কায়েশ সরোয়ার সুমন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার শীলকূপ এলাকার ৩২ জেলে জামিনে মুক্ত হয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসার জন্য রওনা হয়েছে।”
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “ভারতে আটক ৩২ জেলের তালিকা করে তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছিল।”