বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাটমুড়া এলাকায় দলছুট হাতি এসে ঘরের দরজা ভেঙে আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মজুদ করে রাখা ধান খেয়ে চলে যায়।
গতকাল রবিবার গভীর রাতে সংঘটিত এ ঘটনার ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মালেক বলেন, “আমার বাড়িতে বস্তায় করে ধানের মজুদ ছিল। মূলত এগুলো খেয়ে ফেলতে লোহার দরজা, পাকা দেওয়াল ভেঙে প্রবেশ করে হাতি। হাতির আক্রমণের কথা বুঝতে পারি দেওয়ালে ধাক্কা দেওয়ার পর। তখন ছোট মেয়েকে নিয়ে অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে যাই। এর মধ্যে হাতি দেয়াল ভেঙে ধানের বস্তা বের করে নেয়।”
তিনি বলেন, “হাতি কাঁঠাল গাছ থেকে কাঁঠালও খেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পরিবার ও বাচ্চাদের নিরাপদে সরিয়ে পেছন থেকে মাটির ঢিল ছুড়লে তেড়ে আসে আমার দিকে।”
আব্দুল মালেক আরো বলেন, “প্রায় সময় হাতি এখানে আসত। মাস ছয়েক ধরে হাতি আসা বন্ধ ছিল। কাল হঠাৎ করে এসেই আমার বাড়িটি ভেঙে দিল। পুকুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাটমুড়া, পূর্ব সেন্টারপাড়া, চা বাগান এলাকায় হাতির আক্রমণ বেশি।
গত বছর আব্দুল মালেকের বাড়ির পাশেই আরেকটি বাড়িতে ১৩টি নারকেল গাছ উপড়ে ফেলে তাণ্ডব চালিয়েছিল হাতি। সেদিনও পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল পরিবারের লোকজন।
পুকুরিয়া বনবিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলাম খান বলেন, “পুকুরিয়ায় অধিকাংশ বসতি বনের ভিতরে, হাতি কোথায় যাবে? তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি একটুখানি দরজা ভেঙেছে।”
সাধারণ ডায়েরি করে আবেদন করলে কিছু ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বনবিভাগের সাধনপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, “পাহাড়ি এলাকায় খাদ্যের অ্ভাব ও লোকজনের বিচরণ বেশি হওয়াতে দলছুট হাতি প্রায় সময় লোকালয়ে চলে আসে।”
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার নিয়ম অনুসারে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।