বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় ও চাম্বল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাম্বল খাল দখল করে ভবন নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় চিহ্নিত কিছু লোক।
এ খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের ফলে চাম্বল ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের ২০ সহস্রাধিক লোক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে এ আশংকায় আছে জনগণ।
এতে স্থানীয় জনগণ ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন।
সাধারণ জনগণ এ খাল ভরাট রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
জানা যায়, চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় ও চাম্বল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাম্বল খাল হয়ে চাম্বল ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের পানি হায়দরী মুড়া, মিয়ার দোকান, ধুইল্যা ঝিরি, ছড়ার কুল, মইত্যার বিল, নোয়া পাড়া, হিন্দুপাড়া, কর্মকার পাড়া, বণিক পাড়া, জুন্মন পাড়া, ধন্যইল্য পাড়া, পেশকার পাড়া, সিকদার পাড়া, মওলা পাড়া সহ আরো বেশ কিছু এলাকার ঝড়-বৃষ্টির ও পাহাড়ি ঢলের পানি এ চাম্বলের খাল হয় জলকদর খাল ও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
কিন্ত চাম্বল খালের দু’পাশে অসংখ্য দোকানপাট হয়ে একদিকে জায়গার দাম বৃদ্ধি অপরদিকে কম খরচে দোকানপাটের মালিক হতে পারার অজুহাতে খালটি ভরাট করে বেশ কিছু দোকানপাট গড়ে তোলা হয়।
একইভাবে এ খালে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় মিজান, সেলিম ও শহীদুল্লা গংরা পাকা দোকান নির্মাণকালে স্থানীয় জনগণ প্রশাসনকে অভিযোগ করলে বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজ সোমবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে চৌকিদার আবদুর রশিদ বলেন, “এখানে যদি দোকান হয়ে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তিন ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।”
চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, “চাম্বল খাল দখল করে চিহ্নিত ব্যাক্তিরা দোকান নির্মাণ করছে। তারা এ পর্যন্ত খাল দখল করে ৪০/৫০টি দোকান করেছে। জনগণের দুভোর্গের কথা বিবেচনা করে এর আগে তারা দোকান করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ এবং কিছু মালামাল পুড়িয়ে দিলেও তারা বার বার এ কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে আমি এর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি।”
বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, “অবৈধভাবে খাল দখল করে পাকা দোকান নির্মাণের অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।”
তাদের নিজস্ব জায়গা ছাড়া সরকারি জায়গায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে কোনো দোকানপাট করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।












