বাঁশখালীতে প্রধান সড়কে গরুর বাজার, যাত্রীদের ভোগান্তি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ জুলাই, ২০২২ at ৯:০৬ অপরাহ্ণ

পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে তবে একমাত্র প্রধান সড়কের উপর গরুর বাজার হওয়াতে পুকুরিয়া, গুনাগরী, টাইম বাজার ও চাম্বল সহ পুঁইছড়ি পর্যন্ত চলাচলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এবার কোরবানির পশুর সরবরাহ কম হলেও ক্রেতাদের পছন্দ দেশীয় গরু। উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ৩০টির মতো কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী মিয়ার বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পৌরসভার ভাদালিয়া হারুন বাজার, মনছুরিয়া বাজার, পুকুরিয়া চাঁনপুর বাজার, পুকুরিয়া চৌমুহনী, মোনায়েম শাহ বাজার, বানীগ্রাম বাজার, খানখানাবাদ চৌধুরী হাট, বাহারচড়া বশির উল্লাহ মিয়াজির বাজার, রামদাস মন্সির হাট, টাইমবাজার, সরল বাজার, গণ্ডামারা বাজার, বড়ঘোনা সকাল বাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজার, ছনুয়া মনুমিয়াজীর বাজার, সরলিয়া বাজার, পুঁইছড়ি বদ্দারহাট বাজার সহ ছোট-বড় সবে মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০টিরও বেশি পশুর হাট বসেছে।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী মিয়ার বাজার, রামদাশ মুন্সী হাট, জালিয়াখালী কালারচার দোকান, মনছুরিয়া বাজার, পুঁইছড়ি বদ্দারহাট ও বৈলছড়ী নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতি বছরের মতো জমে উঠেছে অস্থায়ী পশুর হাট, চলবে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত।

বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গত কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে সহস্রাধিক গরুর খামার। তুলনামূলক লোকসানের সম্ভাবনা ও রোগব্যাধি কম থাকায় দিন দিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠছে এসব খামার।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় এ ধরনের খামার তৈরির দিকে ঝুঁকছে শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত যুবকরা।

এসব খামার থেকেই পবিত্র ঈদুল আযহার সময় সিংহভাগ গরুর চাহিদা পূরণ হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

এদিকে, বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে প্রেমবাজার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গরুর বাজার একমাত্র প্রধান সড়কে হওয়ায় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বাঁশখালী হয়ে দক্ষিণের পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজারগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “ঈদুল আযহার কোরবানি পশুর হাটে এসে কেউ যাতে প্রতারিত কিংবা সমস্যায় না পড়ে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আসন্ন ঈদুল আযহায় সাধারণ জনগণ যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে তার জন্য মনিটর করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি এলাকায় সাধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের কোরবানির পশুর বর্জ্য পুঁতে ফেলার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধবিয়ে শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে