বাঁশখালীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাত পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশের করা পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিপু, বাঁশখালী পৌর মহিলা দলের সভাপতি শারাবন তাহুরা ফেরদৌস কলি, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. তারেক, বিএনপির সমর্থক সাধনপুর ইউপির মো. জোবায়ের, ডোংরা এলাকার পারভেজ ও মো. এমরান, জঙ্গল নাপোড়ার মো. কামাল, সাধনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. দেলোয়ার, বিএনপির সমর্থক পশ্চিম গুনাগরির কায়সার, দক্ষিণ সাধনপুরের আব্দুর রহিম, চন্দনাইশ থানার সাতবাড়িয়া ইউপির জসিম উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু ও মো. মোশাররফ হোসেন, বাহারছড়া ইউপির হেলাল উদ্দিন, সাধনপুর ইউপির শওকত, শীলকূপ ইউপির মোহাব্বত আলী পাড়ার নবাব আলী, শেখেরখীল ইউপির মো. জাকারিয়া, ডোংরা এলাকার মুনুসর আলম, উত্তর জলদীর আকরাম, শেখেরখীলের নুরুল আমিন, পূর্ব বড়ঘোনার ফরিদুল আলম, উত্তর জলদীর মোশারফ হোসেন ও মো. আলী রিয়াজ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট শুক্রবার বিএনপির ডাকা সমাবেশ কালীপুরস্থ সাবেক সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে শেষ করে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে প্রধান সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ প্রতিরোধ করায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপকালে ওসি সহ প্রায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬৩ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল বলে সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এজাহারনামীয় ও তদন্তপ্রাপ্ত মোট ২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫৬ জন জ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ছবি ও ভিডিও রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আমাদের সাঁড়াশি অভিযান এবং এলাকার পরিবেশ ও আইনশৃংখলা শান্ত রাখতে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
তিনি বলেন, “আজ মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”