বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাঁশখালী আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আলাদাভাবে পালন এবং বেশ কিছু নেতা-কর্মীও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তারই জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ করে।
ফলে ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ২/৩ জন ছাড়া অধিকাংশ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থিত হলে যারা মনোনয়ন পায় তাদের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মেনে নিয়ে আজ বুধবার(২৫ মে) বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান।
অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোছলে উদ্দিন মনসুর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, প্রচার সম্পাদক সরোয়ার কামাল, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল দাশ সহ চেয়ারম্যান এবং মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, “বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারই প্রতিফলন আজকের এ সমাবেশ। এখানে সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক সহ প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক উপস্থিত হয়েছেন।”
তিনি দলকে সংগঠিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
দলের বিরোধ সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে বলেন, “রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, দলের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যেমন আজ প্রায় দুই বছরের বেশি সময় পর আমরা একই সাথে বসে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে একমত হয়েছি।”
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউনিয়নে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন এমন কয়েকজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা জানালেও অনেকে অনড় রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিলের নির্বাচনে ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং ৪টি ইউপিতে বিএনপি সমর্থক বিজয়ী হয়েছিল।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলের জন্য কাজ না করলে আগের মতো বিজয় পাওয়া দুঃসাধ্য হবে বলে সাধারণ জনগণের অভিমত।