শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ রান। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জয় অনেকটা হাতের মুঠোয়। এমন পরিস্থিতিতে পরপর তিন বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। হ্যাটট্রিক করলেন করিম জানাত!
২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দুই বলে ২ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে গেল বাংলাদেশ। করিমের অভ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট শটে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন শরিফুল ইসলাম।
এর আগে শুরুর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ছাপিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন। একাদশ ওভারে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্রেফ ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন দুই তরুণ ব্যাটসম্যান।
শামীম ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। তবে শেষ পর্যন্ত থেকে যান হৃদয়। সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে ৪৭ রান করেন তিনি। ৩২ বলের ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে মারেন দুইটি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৪/৭ (জাজাই ৮, গুরবাজ ১৬, ইব্রাহিম ৮, করিম ৩, নবি ৫৪*, নাজিবউল্লাহ ২৩, ওমরজাই ৩৩, রশিদ ৩, মুজিব ০*; নাসুম ৩-০-২০-১, তাসকিন ৪-০-২৯-১, শরিফুল ৩-০-৩০-১, সাকিব ৪-০-২৭-২, মুস্তাফিজুর ৪-০-৩১-১, মিরাজ ২-০-১৩-১)
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৫৭/৮ (লিটন ১৮, রনি ৪, শান্ত ১৪, সাকিব ১৯, হৃদয় ৪৭*, শামীম ৩৩, মিরাজ ৮, তাসকিন ০, নাসুম ০, শরিফুল ৪*; ফারুকি ৪-০-৩৬-১, মুজিব ৪-০-২২-১, ওমরজাই ৩-০-৩৪-১, রশিদ ৪-০-২৪-১, ফরিদ ২-০-১৭-১, নবি ১-০-৮-০, করিম ১.৫-০-১৫-৩))
ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী












