জয় দিয়ে এবারের আবুধাবী টি-টেন লিগ শুরু করেছিল বাংলা টাইগার্স কিন্তু পরের তিন ম্যাচে টানা হেরে নিজেদের শেষ চারে যাওয়ার পথটা কঠিন করে তুলেছিল। অবশেষে তিন ম্যাচে হারের পর আবার জয়ের ধারায় ফিরল বাংলা টাইগার্স।
নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে শক্তিশালী দিল্লী বুলসকে হারিয়েছে বাংলা টাইগার্স। স্বস্তির জয়টা এসেছে বাংলা টাইগার্সের ১২ রানে। ইফতেখার আহমেদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দলকে এই সহজ জয় পাইয়ে দেয়। এই জয়ের ফলে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল বাংলা টাইগার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলা টাইগার্স শুরুটা ভাল করলেও ২৬ রানে ক্লার্ককে হারায়। ১০ বলে ২৫ রান করে ফিরেন ক্লার্ক। হযরতুল্লাহ জাজাইও পারেননি ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে। ফিরেছেন ৯ রান করে। তবে একজন ঠিকই ঝড় তুলেছেন। তিনি ইফতেখার আহমেদ। এই পাকিস্তানীর ব্যাটের ঝড়ে বাংলা টাইগার্সের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৩৩ রান। মাত্র ৩০ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। যা টি-টেন লিগের এবারের আসরে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান।
তিনি ৫টি চারের পাশাপাশি ৮টি বিশাল ছক্কা মেরেছেন। ১৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মনরো। ১৩৪ রানের জাবাব দিতে নেমে দিল্লি বুলস শুরু থেকেই বাংলা টাইগার্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে। ১৫ রানে টম ব্যান্টনকে হারায় দিল্লি বুলস। ৪০ রানে ফিরেন রাইলি রুশো। জর্দান কক্স এবং টিম ডেভিড মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তাদের স্থায়ী হতে দেয়নি লুক ফ্লেচার। তিনি ফেরান জর্দান কক্সকে। ২১ বলে ৩৪ রান করেন কক্স।
টিম ডেভিড শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন বটে। তবে তা কাজে আসেনি। শেষ ওভারে ফ্লেচারকে চারটি ছক্কা মেরেছেন ডেভিড। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। তিনি একটি চারের পাশাপাশি ছয়টি ছক্কা মেরেছেন। যার চারটি মেরেছেন শেষ ওভারে ফ্লেচারকে। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে থামে দিল্লি বুলস। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন কিমো পল।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে বাংলা টাইগার্সের ইফতেখার আহমেদের হাতে।