চাঁদাবাজি ও ব্যভিচারের মামলায় বান্দরবানের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কুতুবউদ্দিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবান সদরের রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কুতুবউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ব্যভিচারের অভিযোগে পৃথক দুই মামলা রয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আবদুস সোবহান রাবার প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল নিয়াজি জানান, ইউপি সদস্য কুতুবউদ্দিন অন্য দাগের ভুয়া দলিল ব্যবহার করে কোম্পানির জায়গা দখল করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন। পাশাপশি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে লামা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়।
লামা থানার উপ-পরিদর্শক কুতুব উদ্দীন লিয়ন জানান, লামা থানায় চাঁদাবাজি ও ব্যভিচারের অভিযোগে দুইটি মামলা রয়েছে ফাঁসিয়াখালী ২নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কুতুবউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, “লামা থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় ইউপি মেম্বারকে রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে লামা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, লামা থানায় চাঁদাবাজি ও ব্যভিচারের অভিযোগে দুইটি মামলায় ফাঁসিয়াখালী ইউপি সদস্য কুতুবউদ্দিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ব্যভিচারের অভিযোগে ২টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে আরও ৯টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।