নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে থানচি উপজেলায় ভ্রমণে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে ফের এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে গত মাসের ষোলই ডিসেম্বর রুমা ও রোয়াংছড়ি এ দু’টি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন।
এদিকে, একের পর এক পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় গোটা বান্দরবান জেলায় ধস নেমেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও ফাঁকা হয়ে পড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোও।
নিষেধাজ্ঞায় থানচি উপজেলার নাফাকুম, রেমাক্রী, বড়মদক, আন্ধারমানিক, অমিয়কুম, তমাতুঙ্গি, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা’সহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না ভ্রমণকারী পর্যটকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় থানচি উপজেলা ভ্রমণে ফের মঙ্গলবার থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ষোলই ডিসেম্বর থেকে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।