বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম এবং থানচি-চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি এবং আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তার মধ্যে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে।
অপরদিকে, আলীকদম ও থানচি দু’টি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ত্রিশে অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। আজ রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বলেন, “সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযান ও সন্ত্রাসীদের তথ্য সংগ্রহের চলমান অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় থানচি, আলীকদম, রুমা ও রোয়াংছড়ি চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা, থানচি উপজেলার নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বাদুরগুহা, আন্ধারমানিক, বাকলাই ঝর্ণা এবং আলীকদম উপজেলার দামতুয়া ঝর্ণা, ডিম পাহাড়, করুকপাতা ঝর্ণা’সহ চারটি উপজেলার আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না পর্যটকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, “সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং আলীকদম ৪টি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।”