বান্দরবানের দৌছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশীর ডান পায়ের নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাদের।
আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে মাইন বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্তবর্তী ছেড়াকুম এলাকায় মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গরু আনতে যায় ক’জন বাংলাদেশী। এসময় সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে কাঁটাতারের কাছাকাছি পৌঁছালে মাটির নীচে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে এক বাংলাদেশী ব্যক্তির একটি পায়ের নীচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। এছাড়াও চোখে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। আহত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাদের।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আহত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম বলেন, “মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির ডান পায়ের হাঁটু থেকে নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চোখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তবে তারা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
তবে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, “সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে গরু আনতে গিয়েছিল আহত ব্যক্তিসহ কয়েকজন। মাইন বিস্ফোরণের পর আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল মিয়ানমারের সীমারেখায় পড়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত রবিবার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এসময় সাহাবুল্লাহ নামে আরও একজন রোহিঙ্গা যুবক আহত হয়। তার আগে গত মাসে তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশী পাহাড়ি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সীমান্তে একের পর এক ঘটছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা।