বান্দরবানে কেএনএফ-সেনাবাহিনী গোলাগুলি

বান্দরবান প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৭ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। এসময় কেএনএফ-এর কয়েকজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাইয়ন পাড়া বম হো‌স্টেল এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল টিমের উপর গুলি ছোড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল পার্টি (কেএনএফ)। এসময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলি হয়। এতে কেএনএফ-এর কয়েকজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে কেএনএফ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আহ‌ত কেএনএফ সদস্যের নাম বয়রেম বম (২২)। তার বাড়ি রুমা সদর ইউ‌নিয়‌নের বেতালপাড়ায়।

আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার ক‌রে রুমা উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে নি‌য়ে প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা শে‌ষে সেনা পাহারায় বান্দরবান সদর হাসপাতা‌লে পাঠানো হয়।

ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে রুমা উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক জানান, রুমা সদরের জাইয়ন পাড়া এলাকায় সেনা সদস্যরা টহলরত অবস্থায় কেএনএফ-এর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় কেএনএফ-এর এক সদস্য আহত হয়েছে। তাকে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাহারায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে রোয়াংছড়িতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিক) এবং মগ লিবারেশন পার্টি (মগ বাহিনী)-এর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গত ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতান পাড়া এলাকা থেকে বম জনগোষ্ঠীর ৮ জনের লাশ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।

এরপর ২৭ এপ্রিল রুমা উপজেলার মুয়ালপি পাড়া এলাকা থেকে বম জনগোষ্ঠীর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা সকলেই পাহাড়ের বম জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য বলে জানা গেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর সাথে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে কয়েক মাস ধরে।

গত ১৩ মার্চ সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট হামলায় সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সৈনিক রাকিবুল ইসলাম ও সৈনিক শিশির আহমেদ আহত হন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে বন্ধুর জন্য বন্ধুর মৃত্যু