বান্দরবানে তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

আসামীরা পলাতক

বান্দরবান প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৪:০৭ অপরাহ্ণ

অপহরণের পর বান্দরবানে থানচিতে তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ জন আসামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছে।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া হত্যা মামলায় দ-বিধির ৩০২ ধারায় প্রত্যেক আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো যোহন ত্রিপুরা, ক্যহিম ত্রিপুরা, জসিন ত্রিপুরা, জীবন ত্রিপুরা, জর্জ ত্রিপুরা, সানি ত্রিপুরা, সালাউ ত্রিপুরা, সেনেদ্র ত্রিপুরা, যোসেফ ত্রিপুরা এবং শিগরাম ত্রিপুরা। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা সকলেই পাহাড়ের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। এরা সকলেরই থানচি উপজেলার তিন্দু’সহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।

আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল থানচি-আলীকদম উপজেলা সড়কের ২৮ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ের ঝিরি থেকে অপহরণের পর ৩ গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গরু ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন আবু বক্কর, নূরুল আবছার এবং সাহাব উদ্দিন। নিহতদের বাড়ি আলীকদম উপজেলা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী আবু বক্করের বড়ভাই আবুল হাশেম বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থানচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, “তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার সাত বছর পর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ১০ আসামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা সবাই পলাতক। আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামীরা আত্মসর্মণের তারিখ হতে দণ্ড কার্যকর হবে।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার পিপি আইনজীবী ইকবাল করীম বলেন, “২০১৬ সালে থানচি-আলীকদম সড়কে ডেকে নিয়ে তিন গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামীর প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের অপরাধ সন্দেহব্যতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেক আসামীকে ২৬৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৩৮৫ ধারায় চৌদ্দ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারায় দশ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, ৩৮৭ ধারায় দশ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল বিমানবন্দর বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধশক্তিশালী রূপ নিয়েছে সিত্রাং